ছেলে বা মেয়ে সন্তান চাইলে যেটা করা প্রয়োজন




অনেকেরই শখ থাকে তার পরবর্তী সন্তানটি
হবে ফুটফুটে একটি মেয়ে অথবা দুরন্ত একটি
ছেলে। একেবারে নিশ্চিত হবার কোনো
উপায় না থাকলেও, ছোট্ট একটি প্রাকৃতিক
কৌশল অবলম্বন করে সফলতা অর্জন করা যেতে
পারে।
মূলত শারীরিক মিলনের সময়ের ওপরে নির্ভর
করে এই পদ্ধতি। তা কি করে কাজ করে জানতে
হলে আপনাকে প্রথমেই দুইটি বিষয়ে জ্ঞান
রাখতে হবে। একটি হলো ওভিউলেশন বা
ডিম্বপাত নামের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ
করে, আরেকটি হলো স্পার্ম বা শুক্রাণু
কিভাবে একে প্রভাবিত করে।
প্রথমে দেখা যাক ওভিউলেশনের প্রক্রিয়াটি
কিভাবে কাজ করে। নারীর শরীরে প্রতি
মাসে পাঁচ দিনের একটি সময়সীমা থাকে যখন
ওভিউলেশন হয়। ডিম্বপাতের তিন দিন আগে
থেকে শুরু করে এক দিন পর পর্যন্ত হল গর্ভধারণের
জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময়। কারণ ডিম্ব কার্যকরী
থাকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা, কিন্তু শুক্রাণু নারীর
শরীরে পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে
পারে।
এই সময়ের মাঝে গর্ভধারণ করা যাবে তা
জানা গেলো। এবার আসুন সন্তান ছেলে না
মেয়ে হবে তা কিভাবে ঠিক করা যেতে
পারে। জানতে হবে শুক্রাণুর প্রভাব। x
ক্রোমোজোমধারি শুক্রাণু দ্বারা ডিম্ব
নিষিক্ত হবার কারণে সন্তান মেয়ে হবে, আর Y
ক্রোমোজোমের কারণে সে হবে ছেলে। Y
শুক্রাণু তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট, কিন্তু তা
আবার বেশ দ্রুতগামী। তারা খুব বেশিক্ষণ
জীবিত থাকে না। X শুক্রাণু বেশ বড় এবং
ধীরগতির, কিন্তু তারা আবার একটু বেশ সময়
বাঁচে।
এই দুইটি বিষয় জেনে রাখার পর আসুন দেখি
করনীয় কি। ছেলে সন্তান চাইলে Y শুক্রাণু
যাতে খুব দ্রুত ডিম্বের কাছাকাছি যেতে
পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য নারীর
যে দিন ডিম্বপাত হচ্ছে সে দিনেই মিলিত
হওয়াটা জরুরি। নয়তো শুক্রানুটি আর কার্যকরী
থাকবে না।
আবার আপনি যদি মেয়ে সন্তান চান তবে
ডিম্বপাতের দুই থেকে তিন দিন আগে মিলিত
হতে হবে। ডিম্বপাত হবার আগেই সব Y শুক্রাণু
মারা যাবে, ফলে সন্তান ছেলে হবার
সম্ভাবনা কম থাকবে। বেঁচে থাকবে X
শুক্রাণুগুলো। ফলে মেয়ে সন্তান হবার সম্ভাবনা
অনেক বেড়ে যাবে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url