জ্বর (fever)
শররীরে তাপ বেড়ে গেলে জ্বর হয়।
জল চিকিৎসা:
১। যদি হাত পা ঠন্ডা থাকে অথচ জ্বর বেশী হয়, গরম জলে স্পাঞ্জ বাথ করতে হবে। যদি চামড়া শুকনো এবং উত্তপ্ত হয় তাহলে ঠান্ডা জলে স্পাঞ্জ বাথ করতে হবে। যদি ত্বক উত্তপ্ত থাকে সে ক্ষেত্রে ঈষদোষ্ণ গরম জলে স্পাঞ্জ বাথ(হালকা গরম জলে শরীর মোছা) করতে হবে।দিনে তিন বা ততোধিক বার।
২। মাথায় জল পট্টি দিয়ে শুইয়ে রাখতে হবে।
৩। হট ফুট বাথ(পায়ের গোড়ালি পাতা ঢেকে রেখে স্থানীয় ভাবে গোসল দেয়া)। মাথায় অতিরিক্ত রক্ত সঞ্চালন কিম্বা ফ্লু এর কারণে জ্বর হলে সকালে এবং বিকালে হট ফুট বাথ করতে হবে।।
৪। প্রতি এক ঘন্টা পর পর ফলের রস বা ১ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
ভেষজ চিকিৎসাঃ
১। ভিনিগার
* এক গামলা ঠান্ডা পানিতে ২ টেবিল চামচ ভিনিগার ঢেলে নিন।
বরফ না পাওয়া গেলে এক টুকরা কাপড়ে ভিনিগার ভিজিয়ে মাথায় পট্টি দিন।
২। কামরাঙ্গা পাতা:
* দুই কাপ পাতার কুচি ½গ্যালন পানিতে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন।
ঠান্ডা করে জল পট্টি দিন।
৩। ঢেরস বিচি:
পরিমান মত শুকনো বিচি গুড়ো করুন, ½ কাপ গুড়ো ২ গ্লাস পানিতে ১৫ মিনিট সিদ্ধ করুন।ঠান্ডা করে নাডুন।
মাত্রা ঃ
বয়স্ক: ১ কাপ প্রতি ৪ ঘন্টা পর পর।
(২-৬ বছর) ½ কাপ প্রতি ৪ ঘন্টা পর পর।
(৭-১২ বছর) ½ কাপ প্রতি ৪ ঘন্টা পর পর।
শিশু ঃ ১ টেবিল চামচ প্রতি ৪ ঘন্টা পর পর।
৩। নিশিন্দা পাতাঃ
* চা চামচ শুকনো পাতার কুচি বা ৬ চামচ তাজা পাতা ২ গ্লাস পানিতে ১৫ মিনিট সিদ্ধ করুন।
মাত্রাঃ
বয়স্ক: ১ কাপ ৪ ঘন্টা পর পর।
শিশু: ১ টেবিল চামচ ৪ ঘন্টা পর পর।
(৭-১২ বছর) ½ কাপ ৪ ঘন্টা পর পর।