হাঁপানী asthma

হাঁপাণী(asthma)
এটি শ্বাস নালীর একটি অসুখ। বুকে চাপ ধরা , শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া,কশতে কাশতে দম আটকে যাওয়া,শোঁ শোঁ শব্দ,এসব এই রোগের লক্ষন।
জল টিকিৎসা ঃ--
১। বুকে দিনে ২ বার গরম সেক নিন।
২। দিনে ২ বার নাকে ভাঁপ নিন।
৩। যে সময় হাপানী থাকে না সে সময় দিনে ৪ বার শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। সময় ১০-১৫ মিনিট।
শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়ামঃ
পিঠের নিচে বালিশ দিয়ে আরাম করে বসুন।নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিন। তারপর ঠোট কুঞ্চিত করে এমন ভারে নিশ্বাস  ফেলুন যেন ঘাসের নলের ভিতর দিয়ে ফেলছেন। নিশ্বাস যতক্ষন নেবেন তার দ্বিগুন সময় ধরে ফেলুন। এ ভাবে ধীরে ধীরে নিশ্বাস ফেলার সময় বাড়ান। প্রতিবার নিশ্বাস ফেলে অন্তত ৩-৪ বার স্বাভাবিক ভাবে দম নিন ও ফেলুন। আবার শুরু করুন।
     এ ব্যায়ামটি ভোরে ঘুম ধেকে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমতে যাবার আগে করুণ।
     অন্য কোন কাজকর্ম বা ব্যায়ামের সময় নিশ্বাসের কষ্ট হলেও এ ব্যায়াম করতে পারেন।
ভেযজ চিকিৎসাঃ
১। ধুতরা পাতা
* দুটো শুকনো পাতা সিগারেটের মত মুড়ে নিন।
* ৬ ঘন্টা পর পর সিগারেটের মত টানুন।
২। গোলাচি/ কাঠগোলাপ ফুল গাছের পাতা
* দুটো শুকনো পাতা মুড়ে নিন।
* সিগারেটের মত সকালে ১ টি বিকালে ১ টি করে টানুন।
৩। তেতুল গাছের ছাল
* তিন গ্লাস পানিতে ১ ফুট লম্বা ছাল নিয়ে ১০ মিনিট সিদ্ধ করুন।
**খাওয়ার মাত্রাঃ
বয়স্কঃ প্রতিবার খওয়ার পর এবং রাতে শোয়ার আগে ১ কাপ।
বাচ্চাঃ ১/২ কাপ দিনে ৪ বার। খওয়ার পর এবং রাতে শোয়ার আগে
শিশুঃ ২ চা চামচ,দিনে ও রাতে খাবার পর। মোট ৪ বার।
৪। কাঁটানটে পাতা এবং ফুল
* ৫টি তাজা ডালসহ ফুল এবং পাতা ৫ গ্লাস পানিতে ১০ মিনিট সিদ্ধ করুন। 
**খাওয়ার মাত্রাঃ
বয়স্কঃ ১ কাপ দিনে ৪ বার।
বাচ্চাঃ ১/২ কাপ দিনে ৪ বার।
শিশুঃ ২ চা চামচ দিনে ৪ বার।
(এই চিকিৎসা বিশেষভাবে উপকারী অত্যাধিক আমাশয় হলে)



























































Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url